নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সংস্কার বা বিচারের কথা বলে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।’
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত 'তারুণ্যের সমাবেশে' এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশে তারুণ্যের সুনামি শুরু হয়েছে। আজকের লক্ষ লক্ষ তরুণের উপস্থিতি বলছে—তারা চায় গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের পথে পৌঁছাতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিচারের কথা বললেও পেছানো চলবে না। বিএনপি অনেক আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। সাত বছর আগে খালেদা জিয়া এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২৭ দফা ও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবও এসেছে। এখন শোনা যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। আমি বলছি—ঐকমত্য জনগণ করবে। আপনারা না।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি। গুম, খুন, কারাবরণ—সবই সহ্য করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। বেগম খালেদা জিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। এখন যদি কারও বিচার প্রয়োজন হয়, সেটা করবে বিএনপি।”
তিনি বলেন, “যারা এখন বিচারের কথা বলছেন, শেখ হাসিনা না থাকলে তারা বিদেশে থাকতো, আর আমরা থাকতাম জেলে। তাদের ওপর ভরসা নেই। বিচার করবে বিএনপি, আগামী দিনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচন বিলম্ব হলে তরুণরাই এর জবাব দেবে।”